ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শান্ত চৌধুরী নামের এক প্রবাসী যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন শান্ত। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সিলেট-কুমিল্লা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে রামরাইল বাজারের সামনে থেকে ৩৩ বছর বয়সী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শান্ত চৌধুরী সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে, তিনি সৌদি প্রবাসী।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, রামরাইল ইউনিয়নের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পান এলাকার লোকজন। সেখান থেকে আতিক নামের আরেক যুবক ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানান। পরে হাইওয়ে পুলিশ শান্তর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাগ্নে নিলয় নিউজবাংলাকে জানান, বিকেলে তার মামা কিছু না বলেই বাড়ি থেকে লাইট হাতে করে বের হন। তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ৯টায় তারা জানতে পারেন তার মামার মরদেহ পাওয়া গেছে।
৯৯৯ নম্বরে ফোন করা স্থানীয় বাসিন্দা আতিক তিয়াস জানান, রামরাইল ইউনিয়নের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের স্থানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তার ধারণা রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে শান্ত খুন হয়েছেন। এটা সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে না৷ কেউ হত্যাও করতে পারেন বলে জানান তিনি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শান্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এখনও পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগের পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।